আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রোডম্যাপ না আসায় 'মার্চ টু যমুনা' কর্মসূচি ঘোষণা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রোডম্যাপ না দেওয়ায় জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট 'মার্চ টু যমুনা' কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। পদযাত্রা, সমাবেশ ও আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে জোট।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় সরকারবিরোধী বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট’ ঘোষণা করেছে নতুন আন্দোলন কর্মসূচি— ‘মার্চ টু যমুনা’। তারা বলছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, একদলীয় শাসনের অবসান এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নতুন ধাপ শুরু হচ্ছে যমুনা নদীর তীরে বৃহৎ সমাবেশের মাধ্যমে। এ কর্মসূচির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, "জনগণের শক্তি যমুনা থেকে রাজধানীতে"।
কর্মসূচির বিবরণ:
-
তারিখ: ১৫ মে ২০২৫
-
স্থল: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থেকে যাত্রা শুরু করে যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড় পর্যন্ত
-
অংশগ্রহণ: অংশগ্রহণ করবে ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ
-
মন্তব্য: এ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গণআন্দোলনের সূচনা হবে বলে জোট দাবি করেছে
জোটের অভিযোগ ও দাবি:
জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হক বলেন,
“বিচারহীনতা, নির্বাচনপ্রহসন ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। আমরা বারবার বলার পরও দলটি নিষিদ্ধ করার জন্য কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছি।”
সরকার পক্ষের প্রতিক্রিয়া:
সরকারের এক মুখপাত্র বলেন,
“এ ধরনের কর্মসূচি মূলত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা। জনগণ এই ধরনের ষড়যন্ত্রে সাড়া দেবে না।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, যমুনা সেতু ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অননুমোদিত জমায়েত বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।