খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন: ডিএমপির বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরছেন। তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় রওনা দেবেন।

এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিয়েছে। খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পথে বিপুলসংখ্যক জনসমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ডিএমপি একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে ১০ দফা নির্দেশনা জারি করেছে।

ডিএমপির নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপ:

১. সড়কে অবস্থান নয়: সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান-বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মূল সড়কে না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে অবস্থান করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

২. বিকল্প সড়ক ব্যবহার: জনসাধারণকে গুলশান-বনানী-উত্তরা সড়ক এড়িয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন:

• কামারপাড়া-ধউর ব্রিজ-পঞ্চবটী-মিরপুর বেড়িবাঁধ হয়ে গাবতলী।

• ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

• হাউজ বিল্ডিং–মেট্রোরেল স্টেশন–মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে যাতায়াত।

• গুলশান/প্রগতি সরণি থেকে মহাখালী হয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

• বনানী/কাকলী র‍্যাম্প এড়িয়ে মহাখালী/এফডিসি র‍্যাম্প ব্যবহার।

৩. সেনানিবাস সড়ক খোলা: সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হালকা যানবাহনের জন্য সেনানিবাসের জিয়া কলোনি, জাহাঙ্গীর গেট, সৈনিক ক্লাব ও স্টাফ রোড খোলা থাকবে।

৪. এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজি ও মোটরসাইকেল চলাচল: নির্ধারিত টোল দিয়ে ও ৪০ কিমি গতিসীমা মেনে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা যাবে। ট্রাফিক পুলিশ ওভারস্পিডিং ও লেন পরিবর্তন রোধে সক্রিয় থাকবে।

৫. রেল সেবা: আন্তঃনগর ট্রেনগুলো টঙ্গী, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও স্টেশনে দুই মিনিট করে থামবে। কমলাপুর-টঙ্গী রুটে একটি অতিরিক্ত শাটল ট্রেনও চালু থাকবে।

৬. ভ্রমণকারীদের জন্য পরামর্শ: হজযাত্রী, বিদেশগামী যাত্রী এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের আগেই বাসা থেকে বের হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

৭. মেট্রোরেল ব্যবহার: মিরপুর ও উত্তরাবাসীদের জন্য মেট্রোরেল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৮. ব্যাগ ও লাঠি বহনে নিষেধাজ্ঞা: অভ্যর্থনাকারীদের কোনো ধরনের ব্যাগ, লাঠি বা অনুরূপ বস্তু বহন না করার অনুরোধ করা হয়েছে।

৯. গাড়ি বহরে অংশগ্রহণ নিষেধ: অভ্যর্থনাকারীরা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যুক্ত হতে পারবেন না।

১০. মোটরসাইকেল চলাচল: মোটরসাইকেল নিয়ে গুলশান-বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত জনসমাগমের মধ্যে চলাচল নিষিদ্ধ। তবে যদি রাস্তায় ভিড় না থাকে, সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল সাধারণ যানবাহনের সঙ্গে চলাচল করতে পারবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছে যাতে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনের দিন ট্রাফিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও নিয়ন্ত্রিত রাখা যায়।